মাননীয় সভাপতি মহোদয়, মঞ্চে উপবিষ্ট শ্রদ্ধেয় শিক্ষকমণ্ডলী, এবং সামনে উপস্থিত সকল দর্শক-শ্রোতাবৃন্দ, সকলকে আমার বিনম্র শ্রদ্ধা, ভালোবাসা ও শুভ সকাল জানাই।
আজ আমাকে যে বিষয়টি নিয়ে কথা বলার সুযোগ দেওয়া হয়েছে, তা হলো “ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ ও যুব সমাজের ভূমিকা”।
বন্ধুরা, আমরা এক সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছি। একদিকে যেমন প্রযুক্তি আমাদের জন্য অপার সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিয়েছে, তেমনি অন্যদিকে জলবায়ু পরিবর্তন, ক্রমবর্ধমান বেকারত্ব, সামাজিক অস্থিরতা এবং ভুল তথ্যের বিস্তার—এইগুলো আমাদের ভবিষ্যতের জন্য বিরাট চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে।
কিন্তু মনে রাখবেন, কোনো জাতিই তার যুব শক্তি ছাড়া প্রগতির পথে এক পা-ও এগোতে পারে না। যুব সমাজ হলো একটি দেশের মেরুদণ্ড, যারা পরিবর্তন আনতে পারে। আমাদের হাতে যে শক্তি ও সম্ভাবনা রয়েছে, তা আমরা কীভাবে ব্যবহার করব—তার ওপরই নির্ভর করছে আগামী পৃথিবীর রূপরেখা।
প্রথমত, আমাদের হতে হবে সচেতন এবং দায়িত্বশীল নাগরিক। পরিবেশ রক্ষার আন্দোলন থেকে শুরু করে সমাজের দুর্বলদের পাশে দাঁড়ানো—প্রতিটি ক্ষেত্রেই আমাদের সক্রিয় ভূমিকা নিতে হবে।
দ্বিতীয়ত, আমাদের নিজেদের দক্ষতা বাড়াতে হবে। শুধু প্রথাগত শিক্ষার ওপর নির্ভর না করে, প্রযুক্তিনির্ভর জ্ঞান, সৃষ্টিশীলতা এবং সমস্যা সমাধানের ক্ষমতা অর্জন করতে হবে। ভবিষ্যতের বাজার প্রস্তুত হচ্ছে নতুন ধরনের কাজের জন্য, এবং সেই বাজারের জন্য আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে।
তৃতীয়ত, আমাদের যুক্তিবাদী মন তৈরি করতে হবে। মিথ্যা ও বিদ্বেষপূর্ণ প্রচারের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হবে এবং বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে সত্যকে প্রতিষ্ঠা করতে হবে। সমাজে ইতিবাচকতা ও সহনশীলতার বার্তা ছড়িয়ে দিতে হবে।
মনে রাখবেন, আমরা কেবল দর্শক নই, আমরাই পরিবর্তনের কারিগর। অলসভাবে বসে থাকার সময় আমাদের নেই। আজকের আমাদের প্রতিটি পদক্ষেপই আগামীকালের ইতিহাস রচনা করবে।
তাই আসুন, আমরা ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জগুলো সাহসের সাথে মোকাবিলা করার জন্য জ্ঞান, যুক্তি এবং কর্মের মাধ্যমে নিজেদের প্রস্তুত করি। আমরা যেন আমাদের দেশকে এবং পৃথিবীকে আরও সুন্দর, সুস্থ ও স্থিতিশীল করে তোলার অঙ্গীকার করি।
আমার কথা ধৈর্য সহকারে শোনার জন্য মঞ্চে উপস্থিত সকলকে এবং শ্রোতাদের প্রতি আমার আন্তরিক কৃতজ্ঞতা।
ধন্যবাদ। জয় হিন্দ/বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।
